ইসলামই সর্বপ্রথম সকল ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে । প্রত্যেকেই তাদের ধর্ম পালন করবে । তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা নিষিদ্ধ । তবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মুক্তি একমাত্র ইসলামের মধ্যে বলে
বিশ্বীস ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ । সকল ধর্মই সঠিক বলার অর্থ সকল ধর্মকে মিথ্যা বলা এবং সকল ধর্মকে অবিশ্বাস করা; কারণ প্রত্যেক ধর্মেই অন্য ধর্মকে বেঠিক বলা হয়েছে।
১৩. আরেকটি প্রচলিত কুফরী গণক, জ্যোতিষী, হস্তরেখাবিদ, রাশিবিদ, জটা ফকির বা অন্য কানো ভাগ্য গণনা, ভবিষ্যৎ গণনা বা গোপন জ্ঞান দাবি করা অথবা এসকল মানুষের কথায় বিশ্বাস করা । এ ধরনের কোনো কোনো কর্ম ইসলামের নামেও করা হয় ।
যেমন, “এলেম দ্বারা চোর ধরা” । যে নামে বা যে পদ্ধতিতেই করা হোক গোপন তথ্য, গায়েব, অদৃশ্য, ভবিষ্যৎ বা ভাগ্য গণনা বা বলা জাতীয় সকল কর্মই (কাহানা)-র অন্তর্ভুক্ত ও কুফরী কর্ম।
অনুরূপভাবে কোনো দ্রব্য, পাথর, ধাতু, অষ্টধাতু, গ্রহ বা এ জাতীয় কোনো কিছু মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে অথবা দৈহিক বা মানসিক ভালমন্দ করতে পারে বলে বিশ্বাস করা শিরক ।
১৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শেখানো কোনো কর্ম, পোশাক, আইন, বিধান, রীতি, সুন্নাত, কর্মপদ্ধতি বা ইবাদত পদ্ধতিকে অবজ্ঞা বা উপহাস করা ।
১৫. কোন মানুষকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শরীয়তের উর্ধ্বে মনে করা বা কোনো কোনো মানুষের জন্য শরীয়তের বিধান পালন করা জরুরি নয় বলে বিশ্বাস করা কুফরী ।
যেমন, মারিফাত বা মহব্বত অর্জন হলে, বিশেষ মাকামে পৌঁছালে আর শরীয়ত পালন করা লাগবে না বলে মনে করা । অনুরূপভাবে নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, হালাল উপার্জন, পর্দা ইত্যাদি শরীয়তের যে সকল বিধান প্রকাশ্যে পালন করা ফরয তা কারো জন্য গোপনে পালন করা চলে বলে বিশ্বাস করাও কুফরী |
এ ধরনের মত পোষণকারী মূলত নিজেকে বা নিজের ধারণার উক্ত বুজুর্গকে রাসূলুল্লাহ ( সাঃ) ও তার মহান সাহাবীগণের চেয়েও বড় বুজুর্গ মনে করে । এ ব্যক্তি কাফির বলে গণ্য হবে, যদিও সে ইসলামের বিধান পালন করে ।১৬. যাদু, টোনা, বান ইত্যাদি ব্যবহার করা বা শিক্ষা করা ।
১৭. ইসলাম ধর্ম জানতে-বুঝতে আগ্রহ না থাকা । ইসলামকে জানা ও শিক্ষা করাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে না করা বা এ বিষয়ে মনোযোগ না দেওয়া ।
১৮. আল্লাহ ও বান্দার মাঝখানে কোনো মধ্যস্থ আছে বা মধ্যস্থতা ছাড়া আল্লাহর নিকট ক্ষমালাভ, করুণালাভ বা মুক্তিলাভ সম্ভব নয় বলে বিশ্বাস করা শিরক।